Who is "Worker" ( শ্রমিক কে ?) as per Bangladesh Labor Laws?
“শ্রমিক (Worker)” অর্থ শিক্ষাধীনসহ কোন ব্যক্তি, তাহার চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুকনা কেন, যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোন ঠিকাদারের ,ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, এর মাধ্যমে মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্ন্যয়ণমূলক অথবা কেরানীগিরির কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন, কিন্তু প্রধানতঃ প্রশাসনিক, তদারকি কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবেন না;“Worker” means any person including an apprentice employed in any establishment or industry, either directly or through a contractor, by whatever name he is called, to do any skilled, unskilled, manual, technical, trade promotional or clerical work for hire or reward, whether the terms of employment are expressed or implied, but does not include a person employed mainly in a managerial, administrative or supervisory capacity;
- শিক্ষাধীন (Apprentice) সহ কোন ব্যক্তি,
- তাহার চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন,
- যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে (Directly) বা কোন ঠিকাদারের (Contractor) ,ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, এর মাধ্যমে মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে (hire or reward)
- কোন দক্ষ (Skilled), অদক্ষ, (Unskilled)
- কায়িক (Manual), কারিগরী (Technical),
- ব্যবসা উন্ন্যয়ণমূলক (Trade Promotional) অথবা
- কেরানীগিরির (Clerical Work) কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন,
- কিন্তু প্রধানতঃ প্রশাসনিক, তদারকি কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি (managerial, administrative or supervisory capacity) ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবেন না;
শ্রমিক কে ? এই সংজ্ঞা যদি আমরা একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ি তাহলে জিনিসটা একটু সহজভাবে বুঝা সম্ভব।
অনেকেই মনে করেন শিক্ষাধীন (Apprentice) ব্যক্তি শ্রমিক নয়, কিন্তু এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে শিক্ষাধীন (Apprentice) ব্যক্তিরাও শ্রমিকের আওতাধীন হতে পারেন।
চাকুরীর শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন বলতে বুঝানো হয়েছে আপনি আপনার কর্মীকে যে নিয়োগপত্র( Appointment Letter) দিয়ে থাকেন বা যদি না দিয়েও থাকেন তাহলেও সে শ্রমিকের আওতাধীন হতে পারেন। অর্থাৎ মৌখিকভাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি ও শ্রমিক হতে পারেন।
কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে (Directly) বলতে বুঝানো হয়েছে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে থেকে সরাসরিভাবে যে নিয়োগ করি সেই প্রক্রিয়াকে এবং ঠিকাদারের (Contractor) বলতে বুঝানো হয়েছে আমরা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান দ্বারা যে নিয়োগ করে থাকি সেই প্রক্রিয়াকে।
যেমন সরাসরিভাবে (Directly) বলতে, আমি আমার প্রতিষ্ঠান হতে নিজেই একটা চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলাম এবং প্রতিষ্ঠানের নিজ কার্যক্রমে প্রার্থী নিয়োগ করলাম।
ঠিকাদারের (Contractor) মাধ্যমে বলতে, আমি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে দ্বায়িত্ব দিয়ে দিলাম যে আপনি আমার হয়ে নিয়োগ করে দিবেন যেমনটা আমরা অনেক সময় 3rd party Recruitment Service নিয়ে থাকি।
শ্রম আইনের বাংলা ভার্সনে মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে বলা হয়েছে যা অনেকেই মনে করেন টাকার বিনিময়ে কিন্তু ইংরেজি ভার্সনে hire or reward বলা হয়েছে, যা বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে, আপনি যাকে নিয়োগ করেছেন তাকে আপনি মজুরীর বিনিময়ে যেটাকে আমরা Wage বলে থাকি অথবা কোন অর্থ মানে কোন বিনিময় বা কোন পুরস্কার সদৃশ কিছুর মাধ্যমে।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে আমরা বিনিময়ের মাধ্যমে কিভাবে চাকরি দেই?
এর সহজ একটি উদাহরণ হতে পারে, আমাদের বাংলাদেশে অনেক জায়গা আছে যেখনে চাতাল বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চালের বিনিময়ে বা খাদ্যের বিনিময়ে কাজ করানো হয়ে থাকে। অথবা আংশিক মজুরী এবং আংশিক খাদ্য বা অন্য কোন সামগ্রীর বিনিময়ে কাজ করানো হয়ে থাকে।
এখানে স্পষ্টত বলা হচ্ছে, প্রশাসনিক (Administrative), তদারকি কর্মকর্তা (Supervising officer) বা ব্যবস্থাপনামূলক (Managerial) কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, এরা শ্রমিক নয়।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে প্রশাসনিক (Administrative), তদারকি কর্মকর্তা (Supervising officer) বা ব্যবস্থাপনামূলক (Managerial) কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি এরা কারা ?
এর উত্তর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (Bangladesh Labor Act 2006) তে না থাকলেও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ (Labor Rues 2015) তে দেওয়া হয়েছে।
প্রথমেই জেনে নেই তদারকি কর্মকর্তা (Supervising officer) কে?
“তদারকি কর্মকর্তা” অর্থ মালিক বা ববস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এমন কোন ব্যক্তি যিনি উক্ত ক্ষমতাবলে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের কোন শাখার কোন কাজের বা সেবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, কাজের পরিধি নিয়ন্ত্রণ, বাস্তবায়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, কাজের -মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা, শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা প্রদান বা তদারকি করেন;
Section 2 Sub-Section 1 (g) BLR 2015
“Supervising officer” means any person who has been authorized in writing by the employer or management, who shall, for the sake of such power, determine the target of any work or service, control the workload, control the implementation activities, evaluate or review the work, give instruction or supervise to the workers of any section of the factory or establishment;
এখানে প্রধান শর্ত লক্ষ্য করার বিষয় একজন তদারকি কর্মকর্তা মালিক কর্তৃ্ক লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হতে হবে , মৌখিক কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তদারকি কর্মকর্তা বলে গণ্য হবেন না। অর্থাৎ মালিক কর্তৃক লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হলে তিনি শ্রমিক।
লিখিত ক্ষমতার পরেও এর মধ্যে উল্লেখ্য যে তিনি কোন কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের কোন শাখার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হতে হবে এবং
১। কোন কাজের বা সেবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ,
২। কাজের পরিধি নিয়ন্ত্রণ,
৩। বাস্তবায়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ,
৪। কাজের -মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা,
৫। শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা প্রদান বা তদারকি করেন
এখানে যে ৫ টি শর্তের কথা বলা হয়েছে এই ৫ টি শর্তই মালিক হতে লিক্ষিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হলে তিনি তদারকি কর্মকর্তা বলে গণ্য হবেন না। অর্থাৎ যদি এই ৫ টি শর্তের একটি ও যদি তিনি লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হন তাহলে তিনিও শ্রমিক বলে গণ্য হবেন।
প্রশাসনিক (Administrative) বা ব্যবস্থাপনামূলক (Managerial) কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কে?
“প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি” অর্থ মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যিনি উক্ত ক্ষমতাবলে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক বা কর্মচারীদের নিয়োগ, বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ, চাকরির অবসান বা চাকরি হইতে অপসারণ, চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় অনুমোদন বা নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত;
Section 2 Sub-Section 1 (j) BLR 2015
“Any person engaged in administrative or managerial work” means any person authorized in writing by the employer or management, who shall be engaged in appointing worker or employee, determining salary and allowances, removal or dismissal from the employment, payment of final payment to the workers or employees of the factory or establishment and ratifying or controlling the activities in relation to the expenditure of the establishment by virtue of such power vested upon him;
এখানে ও ঠিক একইভাবে প্রধান শর্ত হচ্ছে প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি মালিক কর্তৃক লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হতে হবে , মৌখিক কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বলে গণ্য হবেন না। অর্থাৎ মালিক কর্তৃক লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হলে তিনি শ্রমিক।
লিখিত ক্ষমতার পরেও এর মধ্যে উল্লেখ্য যে তিনি কোন কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের সরাসরি কাজ করবেন, কোন শাখার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নয় এবং
১। শ্রমিক বা কর্মচারীদের নিয়োগ,
২।বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ,
৩। চাকরির অবসান বা চাকরি হইতে অপসারণ,
৪। চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ এবং
৫। প্রতিষ্ঠানের ব্যয় অনুমোদন বা নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত;
এখানে যে ৫ টি শর্তের কথা বলা হয়েছে এই ৫ টি শর্তই মালিক হতে লিক্ষিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হলে তিনি প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বলে গণ্য হবেন না। অর্থাৎ যদি এই ৫ টি শর্তের একটি ও যদি তিনি লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হন তাহলে তিনিও শ্রমিক বলে গণ্য হবেন।
সুতরাং আমরা বলতে পারি,
একজন ম্যানেজার ও শ্রমিক হতে পারেন যদি তিনি মালিক কর্তৃক লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হন।
আবার
একজন সুপারভাইজার শ্রমিক হবেন না যদি তিনি মালিক কর্তৃক লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।
পরিশেষে এটা বলা যেতে পারে কোন ব্যক্তির পদবী (Designation) দেখে বলা যাবে না তিনি শ্রমিক নাকি শ্রমিক নয়।
আশা করি সহজভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসরূপ দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ
The blog is written by,
খুব সহজ করে বুঝানো হয়েছে। ধন্যবাদ
ReplyDelete